ডিএসসিসির আয়োজনে প্রথম পিঠা উৎসব
প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২ জানুয়ারি) নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বর সংলগ্ন স্থানে পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়। ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিকেলে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন। পরে তিনি স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
পিঠা উৎসবে ১৫টি স্টল ছিল। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর সাহানা আক্তার ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর এসব স্টলে নানারকম ও বাহারি ধাঁচের পিঠা প্রদর্শন করেন। আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা, পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ভাপা, ক্ষীরের পুলি, কেক, রিফ ঝাল, ঝাল ভাজা পুলি, কয়েন পুলি, মাংসের পাটি, চিকেন সবজি প্রভৃতি পিঠার স্বাদ নেন।
পিঠা উৎসবে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, ‘বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশনায় আমরা প্রথমবারের মতো এই উৎসব আয়োজন করেছি। বাঙালির ঐতিহ্যের এই ধারা বজায় রাখতে মেয়র মহোদয় এখন থেকে প্রতি বছরই পিঠা উৎসবের আয়োজন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
উৎসবে মেয়রের সহধর্মিণী আফরিন তাপস, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদসহ সকল বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে তিনটিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে।
আসাদ/রফিক