‘সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী’
ফাইল ছবি
বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বরে ভারত যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর সড়ক ভবনে বারৈয়ারহাট রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি ২০-তে যোগ দিতে আবারো সম্ভবত সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটা কনট্রাক্ট সেটাও ভারতে বিজিপি ইনভাইট করেছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলকে। আমরা আশা করছি জুলাই মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল যাবে।
‘ভারতের বিজিপি, পার্টি টু পার্টি কনট্রাক্ট দরকার, পিপুল টু পিপুল কনট্রাক্টকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য, সেতুবন্ধনের জন্য’, বলেন তিনি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রচিত হয়েছিলো তা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অবিশ্বাস আর সন্দেহে রূপ নেয়। কিন্তু ওই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যদি অব্যাহত রাখতে পারতাম আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি হয়নি। হয়নি বলে আমাদের এই অবিশ্বাস সন্দেহকে একটি ওয়াল তৈরি হয়েছিলো। এটা ভাঙা দরকার ছিলো। সেটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙেছেন।
‘মাঝে যে ব্যবধান ছিলো সেগুলো আমরা অনেকগুলো সমাধান করতে পেরেছি। যদি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে আলাপ-আলোচনা করে সবকিছু সমাধান সম্ভব। আমরা যেখানে সীমান্ত সমস্যা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’
বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে সন্ত্রাসবাদ চলতো, সেটি বন্ধ হয়েছে। এখন থেকে তা করার কোনো সুযোগ নেই। একইভাবে ভারতও কোনো সুযোগ দিচ্ছে না। তারাও এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স। এজন্য সীমান্তে বর্ডার সন্ত্রাসবাদ যেটা দু’দেশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসতো, সেটা আর হচ্ছে না।”
দুই দেশের স্বার্থেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু সমাধান আছে তবে তা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য ওপেন আছে। কিন্তু মুখ দেখাদেখি বন্ধ করলে এবং সম্পর্ক নষ্ট করলে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারবো না। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য পিছিয়ে থাকবে।
এ সময় ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি সেভাবে বিনিয়োগ করেন তাহলে আমাদের দূরে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে আজকে আমাদের যে রোড কানেক্টিভিটি, রেল এই দুই বিষয়ে ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি অনেক এগিয়ে গেছে। এই ট্রানজিট সুবিধার জন্য ব্যবসা বাণিজ্যে উভয়ই লাভবান হচ্ছি। আমি ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই আমাদের দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিআরটিসির বহরের বেশিরভাগ গাড়ি ভারতের প্রস্তুত করা। এখন আমাদের বিআরটিসির বহরে ১১’শর মতো গাড়ি এসেছে। আমরা নতুন করে সবার জন্য বৈদ্যুতিক ডাবলডেকার ১০০ এসি বাস নভেম্বরের মধ্যে আনার কথাবার্তা হয়েছে।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/পারভেজ/এসবি/