নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত
নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিংয়ের গুরুত্ব, সম্ভাব্য দূষণের ঝুঁকি, খাদ্য নিরাপত্তায় প্যাকেজিং ইংকের প্রভাব এবং টলুইনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ ও রাজধানীর একটি হোটেলে সম্প্রতি পৃথক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান থেকে ধারাবাহিক শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন ও লেবেলের জন্য প্রিন্টিং ইংক ও কোটিংয়ের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান সেগওয়ার্ক। এছাড়া প্যাকেজিং নিরাপত্তায় শীর্ষস্থানীয় সেগওয়ার্ক কীভাবে বাংলাদেশে সচেতনতা সৃষ্টি করছে, সে বিষয়েও তুলে ধরা হয়।
সেগওয়ার্কের হেড অফ প্রোডাক্ট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি যতীন টাক্কার ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গেস্ট লেকচারার হিসেবে অংশ নেন। একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয়পর্বের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়।
যতীন জানান, নিরাপদ কালির সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেগওয়ার্ক প্রতিশ্রতিবদ্ধ। এছাড়া এ শিল্পে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে।
এরপরেই ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাসায়নিক পদার্থ খাদ্যের সাথে মিশে যাওয়া, সেগওয়ার্কের নিরাপদ রাসায়নিক পদার্থ সংগ্রহ করার পদ্ধতি, বাজারের আকার, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং সার্কুলার ইকোনমি ও পচনশীল উপকরণ ব্যবহার করা বিষয়ে কোম্পানির অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন।
বাংলাদেশে সাসটেইনেবিলিটি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিরাপদ প্যাকেজিংয়ের প্রয়োজনীয় ভূমিকার কথা স্বীকার করে সেগওয়ার্ক। এজন্য রাজধানীর একটি হোটেলে নলেজ শেয়ারিং সেশনেরও আয়োজন করে কোম্পানিটি। প্যাকেজিং উপাদানের নিরাপত্তার দিকটি উন্নত করা এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্যাকেজিং সাপ্লাই চেইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এই সভার লক্ষ্য ছিল। নলেজ শেয়ারিং সেশনটির নেতৃত্ব দেন যতীন টাক্কার।
/হাসান/এসবি/