ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১১ ১৪৩১

ডিএনসিসির অভিযান, লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ৬ আগস্ট ২০২৩  
ডিএনসিসির অভিযান, লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় অভিযানে আটটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় মোট ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রোববার (৬ আগস্ট) ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই অভিযান পুরো আগস্ট মাসজুড়ে চলবে বলে জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন’র অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি ও নির্মানাধীন ভবনে মশকবিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আরো পড়ুন:

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম।

অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন মিরপুর পাইকপাড়া ও শাহ আলীবাগ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলীর অভিযানে প্রায় ৭০টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসা বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিকদের ২ টি মামলায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা সেক্টর-৩ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এই অভিযান পরিচালনা করেন। 

এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বুক বিতরণ করেন। ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনাকালে ১টি মামলায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ওয়াজ উদ্দিন রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

/মেয়া/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়