ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

দেশের মানুষ এই খুনিদের ছাড়বে না: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ২১ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ১৩:৪০, ২১ আগস্ট ২০২৩
দেশের মানুষ এই খুনিদের ছাড়বে না: প্রধানমন্ত্রী

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী (ছবি টিভি থেকে নেওয়া)

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বাংলাদেশের মানুষ ছাড়বে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া পরিবার মানে খুনি পরিবার। এই দেশে আর খুনের রাজত্ব চলবে না।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্টের কিছু আছে কারাগারে। কিন্তু এর মূল হোত তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি সেই সুবিধা নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কতো হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে। সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। বাংলাদেশের মানুষ এই খুনিদের ছাড়বে না। বাংলাদেশের মানুষ ওদেরকে ছাড়বে না।’

‘কিছু লোক হয় তাই নিয়ে ওদের লম্ফ জম্ফ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চেনে নাই। মানুষের কাছ থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলতে চেয়ছিলো, জয় বাংলা মুছে ফেলেছিলো, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলো; কিন্তু পারেনি। আবার ফিরে এসেছে। কাজেই এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না। জিয়া পরিবার মানে খুনি পরিবার।’

এ সময় একুশে আগস্ট আহতদের মানুষের কাছে গিয়ে বিএনপির খুনের আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং লুটপাটের বিষয়ে বলতে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট বেঁচে যাওয়াকে ‘বিস্ময়’ বলছেন প্রধানমন্ত্রী

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেটা খুনি রশিদ-ফারুকের বিবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব বেরিয়ে এসেছে। জিয়াউর রহমান সবাইকে শেষ করতে চেয়েছিলো তারও তো দায়িত্ব ছিলো, সে তো উপ-সেনাপ্রধান ছিলো। সে তো তার ভূমিকা রাখেনি। বরং খন্দকার মোশতাক বাংলার আরেক মীর জাফর ক্ষমতায় নিয়ে জিয়াকে সেনাপ্রধান করে। কী সখ্যতা ছিলো, যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত ছিলো এজন্য তাকে পুরস্কৃত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বক্তব্য দিলো, প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা বিরোধী দলীয় নেত্রীও কখনো হতে পারবে না। এ কথা কীভাবে বলেছিলো? এই হত্যা ষড়যন্ত্র করেছিলো ধারণা ছিলো নিশ্চয় আমি মরে যাবো। এইভাবে তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, চক্রান্ত করেছে। যে দলের উত্থানই হয়েছে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের মিথ্য্যাচার মানুষকে বিভ্রান্তি করার জন্য।’

‘আজকে তারা ভোটের অধিকার কথা বলে। আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, ৩ নভেম্বর আপনজন হারিয়েছি, আওয়ামী লীগের হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে বিএনপি-জামায়াতের হাতে, তাদের মানবতা কোথায়?’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা মাঝে মাঝে মানবাধিকারের কথা বলে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কাদের শেখানো বুলি তারা বলে। এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে যার মূল হোতাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান।’   
২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় নিজে বেঁচে যাওয়াটাকে অবাক বিস্ময় বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন একটা পরিবেশ সেখানে কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। যারা উদ্ধার করতে এসেছিলো তাদের ওপর ঠিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন এগুলো কেন করলো। আলমত মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। চিকিৎসার সরঞ্জামগুলো তালা দিয়ে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা চলে গেছে।’ 

‘তখন তো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। কী ভূমিকা পালন করেছিলো সেটাই প্রশ্ন। সেখানেও বাধা দিলো পুলিশকে। আলমত রক্ষা করতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিলো না। এতে কী প্রমাণ হয়। গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা-তারেক গ্যাংরা যে জড়িত, এতে কোনো সন্দেহ নেই এবং তদন্তে তা বেরিয়েছে।’  

পারভেজ/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়