‘বাঙালির অধিকারের বিষয়ে আপসহীন ছিলেন বঙ্গবন্ধু’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেননি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৬ সালের ছয় দফার আন্দোলন এবং ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে অটল ও নির্ভীক ছিলেন তিনি। হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সভাপতি মো. অহিদ উল্লাহ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান গনি ভূঁইয়া, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূইঁয়া, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, লাকসাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হীরা এবং লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজ জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে ও নির্যাতনের মধ্যে অতিবাহিত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু, তিনি বাঙালির স্বাধিকার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি।

তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, যে মহান নেতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনি। বরং, কিছু কুলাঙ্গার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত করেছিল।

স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর হাতে দেশের উন্নয়নের চিত্র বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে পারত।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় লাকসাম ও মনোহরগঞ্জসহ বৃহত্তর কুমিল্লার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, কুমিল্লাকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তার সবই করা হয়েছে।