ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘অর্থমন্ত্রী বোবা মানুষ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
‘অর্থমন্ত্রী বোবা মানুষ’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ‘বোবা মানুষ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। 

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সময় এ আখ্যা দেন জাপার মহাসচিব। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের অর্থনীতি ভালোভাবে চলছে না। ডলার সঙ্কটের কারণে সরকার ইম্পোর্ট নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের রিজার্ভের সমস্যা। আমাদের রেমিট্যান্স কমে এসেছে। পত্র-পত্রিকায় দেখি, টাকা পাচার হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দেখলাম, এই অবস্থার মধ্যে একজন ব্যক্তির নাম এসেছে, যিনি বাংলাদেশের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি কয়েকটি ব্যাংকের মালিক। তিনি অন্য একটি দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গাপুরে মার্কেট করেছেন এবং ১ বিলিয়ন ডলার দিয়ে হোটেল কিনেছেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, আমরা বার বার এই সংসদে অর্থমন্ত্রীকে বলছি, বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে, আপনি ব্যবস্থা নিন। কিন্তু, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী একজন বোবা মানুষ, উনি কথাই বলেন না। যে দেশের অর্থমন্ত্রী কথা বলেন না, অর্থনীতি সম্পর্কে পার্লামেন্টে কোনো ব্রিফিং দেন না, সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কিছু জানান না, সেই দেশ কিভাবে চলবে, আমি জানি না। আমার প্রশ্ন হলো—যার সম্পর্কে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ এসেছে, এটি সত্য কি না? যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা অবশ্যই দেশদ্রোহিতার শামিল। এটা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও করা হয়েছে। সেখানে হাইকোর্ট অ্যান্টিকরাপশন ডিপার্টমেন্টকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেটি নাকি আবার আপিল বিভাগে গিয়ে স্থগিত আছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই যে এত বড় একটি ঘটনার অনেক তথ্য-প্রমাণসহ আমরা পড়েছি। এমন অনেক তথ্য দিয়েছে, যেগুলো অবিশ্বাস করাও সমস্যা। এই বিষয়টি খুবই গুরুতর রাষ্ট্রের জন্য। প্রধানমন্ত্রী, আপনি অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দিন এই বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখার জন্য যে, আসলেই কোনো বাংলাদেশি মানুষ ১ বিলিয়ন ডলার সেখানে ইনভেস্ট করেছে কি না? করলে বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তিনি কিভাবে এই টাকাটা পেলেন, কোন সোর্স থেকে আনলেন? বাংলাদেশ থেকে না নিলে কিভাবে আসলো? সেটা সরকার তদন্ত করে দেখতে পারে।

বিরোধী দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, একজন কৃষক যে লোন নেয়, ১ লাখ টাকা বা ২ লাখ টাকা। লোন না পরিশোধ করলে তার নামে ওয়ারেন্ট হয়। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লোন নিয়ে শোধ না করলে ওয়ারেন্ট হয়। একজন কৃষক যদি সুদ মাফ চায়, ব্যাংকে আমরা সুপারিশ করি, তারা মাফ করে না। কিন্তু, নাসা গ্রুপের ঋণের ২৫২ কোটি টাকা সুদ মাফ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চারটি রিজন আছে সুদ মওকুফ করার। এই চারটি রিজনের কোনোটির মধ্যেই এটি পড়ে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবজারভার আপত্তি দিয়েছেন, এই সুদ মাফ করা যাবে না। তারপরও ২৫২ কোটি টাকা সুদ মাফ করা হলো। আমি এসব বিষয়ে সংসদে বিবৃতি দাবি করছি।

আসাদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়