ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

১৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৭:৪০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাশিয়া থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি এবং স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের দুটি প্রস্তাবসহ ১৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩ হাজার ৮২ লাখ ৪৬ লাখ টকা।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩০তম সভা হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ৪টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব ছিল। অনুমোদিত ১৪টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮২ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৬ টাকা।

সভায়, ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহীর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের লক্ষ্যে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি লটে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৬টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন ৩টি লটে ৩টি দরদাতা প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৭২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৭ হাজার ১০৫ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা- আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর  প্রপোজাল আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠানই প্রস্তাব দাখিল করে। সব প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান এলইএ অ্যাসোসিয়েটস সাউথ এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ভারত কে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ১৪ হাজার ৭২১ টাকা।

তিনি বলেন,রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জি-টু- জি পদ্ধতিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। রাশিয়ান ফেডারেশনের ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (এফইসি) গম সরবরাহের প্রস্তাব  পেশ করে। প্রস্তাবটি রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন গম ৩১৩ মার্কিন ডলার হিসেবে নির্ধারণ করে। সে হিসেবে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানিতে ব্যয় হবে ৯ কোটি ৩৯ লাখ  মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রতি কেজি গমের মূল্য ৩৪.৪৩ টাকা।

সভায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এই ডাল বিক্রি করা হবে। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ৯৬.৮৫ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, টিসিবি কর্তৃক ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক সরবরাহ সংস্থা মালয়েশিয়ার ব্রিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডি (স্থানীয় এজেন্ট:সেনা এডিবল অয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ,বাংলাদেশ) ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্রাজিল/তানজানিয়া উৎসের ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ২ লিটার পেট বোতলে প্রতি লিটার ১.২০ ডলারে (১ মার্কিন ডলার=১০৯.৫০ টাকা) ক্রয়ের সুপারিশ করে। নির্ধারিত দরে টিসিবির গুদাম পর্যন্ত সব খরচসহ প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৫.৯৩৩ টাকা। অর্থাৎ ১৫৫.৯৩৩ টাকা হিসেবে ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৪৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

অন্যদিকে, স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যম ক্রয় করা হবে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল। স্থানীয় দরপত্রে মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড এই সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দর ধরা হয় ১৭১.৩২ টাকা। বসুন্ধরা প্রতি লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে ১৫৯.৮৫ টাকায়।  টিসিবির গোডাউন পর্যন্ত ২লিটার পেট বোতলে এই সয়াবিন পৌঁছে দিতে মোট খরচ হবে ৭৯ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন,রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে ১৩তম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কানাডা থেকে ৫০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন এমওপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে সর্বমোট ১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার র্মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সার ৩২৩ মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে ১৪তম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির আরও একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লেখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে ৫০ হাজার (+১০%) মেট্রিক  টন এমওপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ৩২৩ মার্কিন ডলার।

সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লেখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সারের বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম  ৫২৬ মার্কিন ডলার।

অতিরিক্ত সচিব জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ৭ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সার ৩৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৮ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, টার্নকি ভিত্তিতে ইউনিফাইড প্রিপেইড সিস্টেমের আপগ্রেডেশন সহ উন্নত মিটারিং পরিকাঠামোর ডিজাইন, সরবরাহ, ইনস্টলেশন, টেস্টিং কমিশনিং কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ কাজে ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। প্রস্তাব ২টি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ওসিউলিন টেক বিডি লিমিটেড; নুরিফ্লেক্স কোং; এবং এস কিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৪৬০ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার ৭২০ টাকা।

সভায় দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি-১৯৯৬ এর ‘আওতায় বিল্ড ওন অ্যান্ড অপারেট(বিওও)’  ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম অব গ্রিণ প্রগ্রেস রিনয়েবল বি.ভি এবং আইআরবি অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড কর্তৃক প্রস্তাব দাখিল করে। প্রস্তাবটি আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। বিউবো এবং পিইসি কর্তৃক প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত দরদাতার সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নিমিত্ত ‘নো ইলেক্টিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব  অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা  ১০.৮৭৮২ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ নির্ধারনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি । প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি-১৯৯৬ এর ‘আওতায় বিল্ড ওন অ্যান্ড অপারেট (বিওও)’ ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম অব ডিট্রলিক অব এসএ ইনটারন্যাশনাল প্রাইভেট অ্যান্ড পাওয়ারনেটিক এনার্জি লিমিটেড প্রস্তাব দাখিল করে। প্রস্তাবটি আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। বিউবো এবং পিইসি কর্তৃক প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ১০.৯২৮১ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

কক্সবাজার জেলার চকোরিয়ায় ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি-১৯৯৬ এর ‘আওতায় বিল্ড ওন অ্যান্ড অপারেট(বিওও)’ ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে কক্সবাজার জেলার চকোরিয়ায় ২২০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জেটি নিউ এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক প্রস্তাব দাখিল করে। প্রস্তাবটি আর্থিক, বাণিজ্যিক এবং কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। বিউবো এবং পিইসি কর্তৃক প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত দরদাতার সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১৩.৪১৪ টাকা হিসাবে আনুমানিক ১২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।

/হাসনাত/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়