‘জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব’

জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়াই দায়িত্ব বলে মনে করেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।

তিনি বলেছেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে। একটি কল্যাণকামী উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। জনগণই সব ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সব প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকারের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আপনারা আপনাদের বক্তব্য প্রদান করেছেন যা সংসদীয় কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার। আশা করি এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও উন্নয়নের মতো মৌলিক বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

শামসুল হক টুকু বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ দেশের যে অঞ্চলেই বসবাস করুক না কেন, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সমতার ভিত্তিতে পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ মেট্রোরেল, স্ব-অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের সফলতার জয়যাত্রায় যুক্ত করেছে অনন্য মাইলফলক।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে এক রোল মডেল। আমাদের মাতৃভূমিকে এমনভাবে গড়ে তুলি যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ উচ্চ অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সদস্যবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং সেটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।