ঢাকা     শুক্রবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৫ ১৪৩১

যেকোনো লেখাই সাহিত্যের অংশ: স্পিকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২২:৩৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যেকোনো লেখাই সাহিত্যের অংশ: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  বলেছেন, ‌“যে কোনো লেখাই সাহিত্যের অংশ। ভ্রমণ সংক্রান্ত সাহিত্য বিশ্বের চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে। বিভিন্ন সময়ের অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ভ্রমণকাহিনীতে ফুটে ওঠে। অতীত নিয়ে গবেষণার এক অনন্য উৎস ভ্রমণ সাহিত্য। এক্ষেত্রে, লেখক সাজ্জাদ হুসেইনের ‘ট্রাভেলস অফ মাই লাইফ’ ভ্রমণ গ্রন্থটি তরুণ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ব্রাক সেন্টার ইনে লেখক সাজ্জাদ হুসেইন প্রণীত একাডেমিক প্রেস পাবলিশার্স লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত ‘ট্রাভেলস অফ মাই লাইফ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

স্পিকার বলেন, লেখক সাজ্জাদ হুসেইন ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ছাত্রজীবন সমাপ্তির পর আমলা জীবনে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সময়ানুবর্তিতা চর্চার পাশাপাশি মাছ ধরা, বই পড়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাঠানো, পরিবার সবকিছুই তার জীবনের অংশ। তিনি গ্রন্থে তার শৈশবে ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করেছেন, যাতে নারীদের পালকিতে চলাফেরার কথা রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এ থেকে অতীত সম্পর্কে জানতে পারবে। গ্রন্থটিতে সেসময়কার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির পরিচয় পাওয়া যায়। গ্রন্থটি প্রকাশে লেখকের পরিবার, বন্ধু, স্বজনরা তাকে উৎসাহিত করেছেন যা খুবই প্রশংসনীয়।

আরো পড়ুন:

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শৈশব থেকেই লেখক সাজ্জাদ হুসেইনের ভ্রমণে অদম্য আগ্রহ। ভ্রমণে তিনি পান অনাবিল আনন্দ। চাকরি থেকে অবসরের পর অধিকাংশ ভ্রমণের কল্পকথা ‘ট্রাভেলস অব মাই লাইফ’ গ্রন্থে তুলে ধরেছেন সহজ, সরল ভাষায় সাবলীলভাবে। বিশ্বের অনেক দেশের অনেক স্থানের অজানা তথ্য এ গ্রন্থের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে। কানাডার অটোয়া, দার্জিলিং-এর চা বাগান, লাস ভেগাস, কাশ্মীর, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, ফিলিপিনস, চীনসহ নিজ দেশের নীলগিরি, সুন্দরবন, সাজেক ইত্যাদি ভ্রমণের বর্ণনা ও অভিজ্ঞতা গ্রন্থটিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কলাম লেখক ড. এম এ মোমেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজলী শেহেরিন ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমিক প্রেস পাবলিশার্স লাইব্রেরির প্রকাশক আহমেদ সারওয়ারুদ্দৌলা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়