পার্বত্য অঞ্চল বোঝা নয়, দেশের অন্যতম সম্পদ: বীর বাহাদুর

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, শেখ হাসিনার সৎ নেতৃত্বের কারণে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং এ অঞ্চল দেশের জন্য স্মার্ট জনপদ হিসেবে অন্যতম সম্পদে পরিণত হবে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান জেলা সদর পৌরসভার নিউ গুলশান ও নতুন পাড়া এলাকায় চারটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ৯টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বান্দরবান আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে এসব উন্নয়ন কাজে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে পার্বত্যবাসীরা দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা গ্রামসহ পার্বত্য এলাকার আনাচে-কানাচে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছে সাধারণ জনগণ। পার্বত্য অঞ্চল এখন আগের চেয়ে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।’

এ সময় বাহাদুর উশৈসিং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন নিউ গুলশান হাসপাতালের পেছনে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের প্রকল্প; জেলখানা এলাকার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প; জাহাঙ্গীর সওদাগরের বাড়ি থেকে পাড়া পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প; গণপূর্ত অফিসের সামনে থেকে সাঙ্গু ব্রিজ পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প এবং নিউ গুলশান রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের গীতা স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এছাড়া এদিন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে বান্দরবান আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ এবং বীর বাহাদুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের আসবাবপত্র সরবরাহ, গেট নির্মাণ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

এ সময় অন্যান্যের ছিলেন মধ্যে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহআলম, বান্দরবান সদর পৌরসভার মেয়র সামসুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লেলিন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত প্রমুখ।