ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

ডেঙ্গুবিরোধী অভিযানে মাঠে নামলেন মন্ত্রী ও মেয়র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩১, ৮ অক্টোবর ২০২৩  
ডেঙ্গুবিরোধী অভিযানে মাঠে নামলেন মন্ত্রী ও মেয়র

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন’র (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশকবিরোধী অভিযানে মাঠ নামলেন।

রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা ও নতুন বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়াও, অন্য দুইটি ভবনে লার্ভা পাওয়ায় দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ডেঙ্গু রোগের ধারক ও বাহক এডিস মশা মূলত মানুষের বাসা বাড়ি কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনায় জন্ম নেয়। এ মশা নদী, নালা, খাল, বিল, নর্দমার পানিতে জন্ম নেয় না। এ মশা প্রজননের জন্য জমাটবদ্ধ পরিষ্কার পানি প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে জনগণকে সাথে নিয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে গৃহীত পদক্ষেপের বর্ণনা দেন। 

অভিযান শেষে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। আমরা যদি এডিস মশা না পেতাম, তাহলে তো জরিমানা করতাম না। দুই মাস আগে একেকদিন কারও বাড়িতে পাঁচ লাখ, কারও অফিসে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এমনকি, এক দিনে ২৫ লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়েছে। আজকেও বিশেষ অভিযান চলছে।

অভিযান সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমার প্রতিটি থানাকে প্রথমে ছয়টি জোনে ভাগ করেছি। আবার এ ছয়টি জোনের প্রতিটিকে ১০ ভাগ করে নিয়েছি। অর্থাৎ প্রতিটি থানাকে ৬০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে শনিবার থেকে আমাদের টিম মশা নিধনের কাজ করছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশন থেকে জরিপ করবো এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেও জরিপ করতে বলবো। প্রয়োজনে আমরা আমাদের এ কার্যক্রম আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেব।

এ সময় মেয়র সাধারণ মানুষের উদ্দেশে কোথাও পানি জমা দেখলে হটলাইনে কল করার অনুরোধ জানান। এ ছাড়া, আমাদের ওয়েবসাইটে গেলে এখন দেখা যাবে, কোন ওয়ার্ডে কে মশক সুপারভাইজার, কে সহকারী হেলথ অফিসার, কে ডেপুটি সহকারী হেলথ অফিসার। সবার নম্বর দেওয়া আছে। আপনারা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি, ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আজকের (রোববার) অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আট মামলায় মোট সাত লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ডিএনসিসির অঞ্চল ০৫ এ তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, অঞ্চল ০৩ এ তিন লাখ টাকা, অঞ্চল ১ এ ৩০ হাজার টাকা, অঞ্চল ২ এ ২০ হাজার টাকা, অঞ্চল ০৬ এ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মেয়া/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়