ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভার ধন্যবাদ 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ৯ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৮:৩৪, ৯ অক্টোবর ২০২৩
দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভার ধন্যবাদ 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৯ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জন্য এটিই সবচেয়ে বড় সফলতা। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৩তম পারমাণবিক দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। ১ হাজার ৬২ একর জমির উপর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায় জাপানের মিৎসুবিশি, ফুজিটা ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং যৌথভাবে টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ করেছে এবং টার্মিনালকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলের একটি রুটের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে দুটি ধন্যবাদ প্রস্তাব ছিল। পারমাণবিক শক্তি শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বঙ্গবন্ধুর অন্যতম একটি স্বপ্ন ছিল, যে স্বপ্নের জন্য উনি ষাটের দশক থেকে আন্দোলন করেছিলেন।

এরকম একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কমপক্ষে ৬৭টি সার্টিফিকেট পূরণ করতে হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন থেকেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটির মাধ্যমে সেই সার্টিফিকেট অর্জনের কার্যক্রম শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তী সময়ে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি হিসেবে ক্ষমতায় এসে আবার প্রধানমন্ত্রী সেই কাজ এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য তার কার্যক্রম শুরু করেন এবং রাশিয়ার সাথে নেগোসিয়েশন শুরু করেন।

তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ৫ তারিখে আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে ইউরোনিয়ামের হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসীপূর্ণ ও দৃঢ়তাপূর্ণ সিদ্ধান্ত পদক্ষেপের জন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় যে টার্মিনাল, সেটির একটি সফট ওপেনিং হয়েছে। এটি বাংলাদেশের একটি বড় প্রকল্প। বিশ্বমানের একটি টার্মিনাল হয়েছে, যেখানে একই সাথে অনেকগুলো প্লেন পার্কিং করতে পারবে। এরকম সুযোগ-সুবিধা সেখানে আছে।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়