ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ১১ অক্টোবর ২০২৩  
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে সমঝোতা 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা ওয়াসার মধ্যে নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

ডিএনসিসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা ওয়াসার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান এই সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসা ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি থেকে শিডিউলড ডিস্লাজিং-এর মাধ্যমে পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাষণ করবে। একইসঙ্গে সংগ্রহকৃত বর্জ্য দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট যা দাশেরকান্দিতে অবস্থিত, সেখানে পরিশোধন করে পরিবেশে ফেরতের উপযুক্ত অবস্থায় নিষ্কাষণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

ইউনিসেফ এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসা এটি বাস্তবায়ন করবে। 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এটি সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা অর্থনৈতিকভাবে সেই সক্ষম অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছি যে, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কাজ করতে পারি। আমি আশা করি এ ধরনের উদ্যোগের ফলে পরিবেশের ভারসাম্যের সাথে সাথে মানুষ সুন্দর পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পাবে।

এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসসি এবং ঢাকা ওয়াসার নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই উদ্যোগ দূষণমুক্ত শহর গড়তে সুফল বয়ে আনবে। তবে সবাই শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের বাড়িতে অল্প কিছু টাকা খরচ করে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করলেও কিন্তু দূষণ রোধ করা সম্ভব।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা কিছুদিন আগে একটি সার্ভে করেছি। সেখানে দেখা গেছে বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় ৯৯ শতাংশ বাড়িতে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা নেই। অথচ বারিধারার জমির দাম ম্যানহাটন শহরের চেয়েও বেশি। গ্রামেও সোকওয়েল ব্যবহার করে প্রত্যেকে নিজস্বভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক গুলশান-বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও মাত্র চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করছে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, ইউনিসেফ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ।

 

মেয়া//

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়