ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

কামরাঙ্গীরচরে হবে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র: তাপস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ১১ অক্টোবর ২০২৩  
কামরাঙ্গীরচরে হবে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র: তাপস

কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১১ অক্টোবর) কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণি’র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মেয়র এসব কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ণ হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক বা ফিন্যান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।

মেয়র বলেন, আমরা আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করছি। আদি বুড়িগঙ্গা তার রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই আমরা নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় আমরা ছয় সারি বিশিষ্ট একটা আধুনিক সেতু নির্মাণ করব। এর উত্তরদিকে যে এলাকা রয়েছে আমরা সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করব।

তিনি বলেন, দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তুলব। এ ছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও ৪ সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারই ফলে আজ এই নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মেয়র বলেন, আপনারা আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি এখানে যেসব সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন যেসব জমির প্রয়োজন হবে, আমরা তাদের পূর্ণরূপে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করব। কেউ বঞ্চিত হবে না। যথাসময়ের পূর্বে আপনারা ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়ে যাবেন।

আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এই ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরই নয়, সারা বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে না। সেভাবেই আমরা কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তুলছি। ইনশাল্লাহ আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই কামরাঙ্গীরচরের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পিত নগরায়ণের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা কামরাঙ্গীরচরবাসী পাবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকব।

এসময় আইনজীবী কামরুল ইসলাম কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়নে বিশেষ নজর রাখায় মেয়রকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পরে সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর বিপণি বিতানের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ডিএনসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

ডিএসসিসির নিজস্ব অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মাণ করা হবে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৪ ফুট গড় প্রশস্ততার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ এবং সংরক্ষিত আসনের শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়