ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘গ্রাম আদালত শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১২ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৯:৩৭, ১২ অক্টোবর ২০২৩
‘গ্রাম আদালত শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মামলা-মোকদ্দমা হ্রাসে সহায়তা করতে এবং গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ইউএনডিপি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। আরও বক্তব্য রাখেন—স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মাদ নুরে আলম সিদ্দিকী। প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আইনি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। আনুষ্ঠানিক আদালত ব্যবস্থায় মামলার জট কমিয়ে আনতে গ্রাম আদালত একটি চমৎকার বিকল্প।

উল্লেখ্য, প্রথম দুই ধাপের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। প্রকল্পটি গ্রহণের সময় পুরো বাংলাদেশে গ্রাম আদালত পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের লক্ষ্য হচ্ছে—কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অংশীজনদের ভূমিকা বিবেচনায় রেখে টেকসই গ্রাম আদালত ব্যবস্থা তৈরি করা।

আসাদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়