ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ছেলে কেন মাকে দেখতে আসে না, বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২১:২৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
ছেলে কেন মাকে দেখতে আসে না, বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন 

জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নির্বাহী ক্ষমতায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় রাখা এবং উন্নত চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার পরও দলটির নেতাদের অনশনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাটক করারও তো একটা সীমা থাকে। খালেদা জিয়া অসুস্থ, আপনারা অনশন করেন। তাহলে ছেলে (তারেক জিয়া) কেন মাকে দেখতে আসে না? এটা কেমন ছেলে এটাই আমার প্রশ্ন। মা এত অসুস্থ, মাকে দেখতে আসে না কেন। মাকে দেখতে আসুক।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাওলায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বড় বোন (খালেদা জিয়ার) ও ভাই, বোনের জামাই আমার সাথে ও রেহানার (শেখ রেহানা) সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে আসেন, কান্নাকাটি করে। আমি সরকারপ্রধান হিসেবে আমার যতটুকু ক্ষমতা...যদিও সে আমাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা, কোটালী পাড়ায় বোমা পুতে রাখা এবং বারবার হামলা করেছে। কারণ একেকটা বক্তব্য দিয়েছে আর আমার ওপর হামলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছে। আমার নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে আমাকে রক্ষা করেছে। যখনই তার বোন এসে কান্নাকাটি করলো, আমি সত্যি কথা বলতে কী সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে রাখার সুযোগ করে দিয়েছি, চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।

‘আজকে দেখি বিএনপি তার বিদেশে চিকিৎসার দাবি নিয়ে অনশন করে। এখন আমি জিজ্ঞাসা করি, তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছে। আর বাসায় কী দিয়ে নাস্তাটা করে এসেছে। আর বাড়ি গিয়ে কী দিয়ে ভাত খাবে, কয় ঘণ্টার অনশন? নাটক করারও তো একটা সীমা থাকে। এই নাটকই করে যাচ্ছে তারা।’

পড়ুন- ষড়যন্ত্রে বিএনপির জন্ম, এখনও ষড়যন্ত্র করছে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, তারা নাকি আমাদের উৎখাত করে দেবে। সময় দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাস আর সেই সময়ে নাকি আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে। যে সরকার জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছে, দেশের মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। তবে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, মানিলন্ডারিং, হত্যা- এ কারণেই এদেশে ইমার্জেন্সি সৃষ্টি হয়। সেই সময়ে খালেদা জিয়ার ছেলে জীবনে আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু যে টাকা সে মানিলন্ডারিং করেছে ও ধরা পড়েছিলো এবং তার দুর্নীতি সম্পর্কে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই বাংলাদেশের এসে সাক্ষী দিয়ে যায়। আর সেই মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত। তাদের ব্যবসা ছিল অস্ত্র চোরাকারবারি, মানিলন্ডারিং আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আমাদের হত্যার চেষ্টা- সেই মামলার আসামি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে কোকোর বিরুদ্ধেও মানিলন্ডারিং ছিল। কোকো মারা যাওয়ার পর একজন মা হিসেবে খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিলাম। আমি যখন ওই বাসার সামনে যাই, গেট বন্ধ করে দেয়। বিএনপি নেতারা ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমাকে ঢুকতে দেয় না। আর খালেদা জিয়া ভুলে গেছে ’৭১ এর পর ওই ৩২ নম্বরে কতবার গেছে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর আমার মা না থাকলে বেগম জিয়া হিসেবে নিজের নাম-পরিচয় দিতে পারতো না। এটা হলো বাস্তব কথা। আর সে কি না আমাকে ঢুকতে দেয়নি। তারপরও সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আমি তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। আর তারা তাকে অনশন করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চায়। নেবেটা কে? যে ছেলে মাকে দেখতে আসে না, সে নেবে? সে আশা দুরাশা।

পারভেজ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়