ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত টিআইবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১৫ অক্টোবর ২০২৩  
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত টিআইবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে এ শঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি।

রোববার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সিইসির ‘হাল ছেড়ে দেওয়া’ এবং প্রকারান্তরে পক্ষপাতিত্বমূলক অবস্থানের মানসিকতার সমালোচনা করেছে টিআইবি।  

সংস্থাটি মনে করে, আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি।

টিআইবি বলেছে, সিইসি নিশ্চয়ই জানেন, শুধু আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করে নির্বাচন শেষ করলে তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে না। এমন বাস্তবতার পাশাপাশি গত শনিবারে সিইসির বক্তব্য শুনে আশঙ্কা হচ্ছে যে, তিনি হয়ত হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। কোনো অবস্থাতেই এর কোনো ইতিবাচক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব নয়। দেশবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কমিশনের কাছে আরও বেশি উদ্যোগ প্রত্যাশিত।

দুই দিন আগেই সিইসি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বারবার অবস্থান পাল্টানোকে সন্দেহজনক ও বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দলীয় চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে নির্বাচনে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি যখন তিনি বলেন যে, ‘... কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না...জনগণ যদি আসেন, ভোটাররা যদি আসেন, তারা ভোট প্রয়োগ করেন, তাহলেই নির্বাচনের একটা বড় সফলতা...’ তখন তার এ ঘোষণায় বাস্তবে দলীয় পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন হয়েছে, যা দেশবাসীর মধ্যে হতাশা বাড়াচ্ছে। সাংবিধানিক সংস্থার প্রধানের এমন অবস্থান থাকলে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, সেটা নিয়ে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। জনগণ ভোট দিলেই বড় সফলতা, এটি যেমন সঠিক, তেমনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অজানা থাকার কথা নয় যে, জনগণের ভোটে অংশগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত সাপেক্ষে বাস্তব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি অপরিহার্য।’

স্ববিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান পরিহার করে নির্বাচনকালীন সরকারের পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে ভূমিকা পালনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ও অধিপরামর্শমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রসর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

নঈমুদ্দীন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়