ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

আসছে নীতিমালা

সরকারি চাকরিজীবীদের যে কোনো সময় ডোপ টেস্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৮:২১, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
সরকারি চাকরিজীবীদের যে কোনো সময় ডোপ টেস্ট

সরকারি চাকরিজীবীদের সন্দেহ হলে যে কোনো সময় মাদক শনাক্তকরণ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ইতিপূর্বে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন যে কোনো সময় সন্দেহজনক হলে ডোপ টেস্ট করা হবে। ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট নাম দেওয়া হবে। এ জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক মাদক। এটা জাতির জন্য খুবই অ্যালার্মিং। বিশেষ করে যুব সমাজ, খুব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এদিকে ঝুঁকে পড়ছে। এটাকে দমন করতে এসব মাদক ও নেশাদ্রব্য যাতে দেশে প্রবেশ না করে সেজন্য আরও বেশি সচেতন ও তৎপর হওয়ার জন্য, যেসব রুটে এসব আসে সে রুটগুলো বন্ধ করার জন্য কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে। একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের সন্তানরা কী করেন সে ব্যাপারে তারা যেন সচেতন থাকেন। মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয় থেকেও যেন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে তারাও কাজ করবেন, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ। বিশ্বের তুলনায় আমরা মনে করি ভালো অবস্থানে আছি। মুসলিম অধ্যুষিত অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। হলি আর্টিজনের ঘটনার পর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতেও যাতে না ঘটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। জনগণও চায় না এমন ঘটনা আর ঘটুক।

এখন নির্বাচনের সময়, পত্রপত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাইরে থেকে অস্ত্র আসতে পারে। সেজন্য বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব‌লেও জানান তি‌নি।

হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে জা‌নি‌য়ে মন্ত্রী ব‌লেন, এই ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আমরা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে সেই আলোকে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘কিছুসংখ্যক এনজিও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অ্যালার্মিং’ মন্তব‌্য ক‌রে মোজাম্মেল হক ব‌লেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটি খুব উদ্বেগের বিষয়। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার নিতে আগ্রহী ছিল, আমরা পাঠাতে রাজি হয়েছি। বিদেশিরাও কিছুটা সহযোগিতা করেছেন। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, কিছু এনজিও আছে তারা নিরুৎসাহিত করছে। তারা গুজব রটায় সেখানে গেলে নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতন করা হবে। এই অপপ্রচারের কারণে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে নেগেটিভ হয়েছে। গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তি‌নি ব‌লেন, বিদেশে থেকে মিথ্যাচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। আমরা সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে পারছি না। এনটিএমসিকে আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য গুজবের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।
 

নঈমুদ্দীন/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়