‘পৃথিবীতে ইসরায়েল নামে কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না’

‘পৃথিবীতে ইসরায়েল নামে কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না। পশ্চিমা বিশ্ব মানবতার দোহাই দিয়ে আশ্রয়ের নামে বসবাসের জন্য সামান্য জায়গা দেয় ইহুদিদের। কিন্তু, আজ আশ্রিত হয়ে পুরো একটি স্বাধীন দেশকে তারা ক্রমেই গিলে ফেলেছে। সেখানে নারকীয় গণহত্যার তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে ইসরায়েলি দখলবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিশ্বমানবতার প্রতি আহ্বান জানাই।’

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার আয়োজনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি অবৈধ আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নীল।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করেছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মতো ফিলিস্তিনের জনগণের এ দুঃসময়ে সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির রেজাউল করিম জালালী, জমিয়তে উলামা ইসলাম কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, খিলাফত মজলিসের সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি হাফেজ তাজুল ইসলাম হাসানসহ সিলেট মহানগরীর ৪২টি ওয়ার্ড থেকে আগত ইমাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 

বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বন্দরবাজার কালেক্টরেট মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে চৌহাট্টার দিকে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও সাদা কাপড়ে কালেমা খচিত পতাকা নিয়ে ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে নিহত সকল মুসলমানদের জন্য দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।