জাতীয় যুব কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রশিক্ষিত যুবশ্রেণি গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে গঠিত জাতীয় যুব কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।

গত ২৭ মে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় যুব কাউন্সিলের কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়। এতদিন এই কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এই কাউন্সিলের প্রথম কার্যনির্বাহী সভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে সাধারণ পরিষদ গঠন করা হয়। ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠনের জন্য প্রত্যেক জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪ জন, বিশেষ শ্রেণিভুক্ত যুবক ছয়জন, অন্যান্য পাঁচজনসহ ৭৫ জন সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ পরিষদ গঠন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় যুব কাউন্সিলের সভাপতি মাসুদ আলম। সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় যুব কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তানজিনুল ইসলাম।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. আব্দুল হামিদ খান এবং পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আব্দুল আখের।

কার্যনির্বাহী সভার আলোচ্যসূচিতে ছিল—কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের ওপর দায়িত্ব আরোপ, আগামী ১ নভেম্বর ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২৩’ উদযাপন নিয়ে আলোচনা এবং যুবকদের নতুন প্রকল্প বিষয়ে আলোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—কাউন্সিলের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম দীপ, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক ও ফরিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শবরাত হোসেন রুবেল, দপ্তর সম্পাদক শিরিন আক্তার আশা, আইসিটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন খান, প্রচার সম্পাদক মো. শফিউল আলম সজিব, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুর রহমান রিজভী, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো রাসেল মোল্যা, বিভাগীয় প্রতিনিধি মো. হাসিবুল ইসলাম হাসান (ঢাকা), মাকসুদা আক্তার (ময়মনসিংহ), পল্লব কুমার মৈত্র (খুলনা), কিশোর চন্দ্র বালা (বরিশাল) এবং কার্যনির্বাহি সদস্য তিশা রহমান, মো. আরিফ হাসান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যুবদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে একটি প্ল্যাটফর্ম জাতীয় যুব কাউন্সিল। দক্ষ ও সচেতন যুবশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এই কাউন্সিল গঠিত হয়। আশা করা হচ্ছে, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল পর্যায়ের যুবারা তাদের চাহিদা, পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরতে পারবে।