ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

কাস্টমস লকার থেকে স্বর্ণ গেল কোথায়: সংসদে প্রশ্নবাণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৩  
কাস্টমস লকার থেকে স্বর্ণ গেল কোথায়: সংসদে প্রশ্নবাণ

সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, কাস্টমস বিল-২০২৩ এবং জেলা (পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাসমূহে বলবৎকরণ) বিল সংসদে পাস হয়েছে। এর মধ্যে ‘কাস্টমস বিল-২০২৩' পাশের প্রবল বিরোধীতা করেছে জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলগুলোর এমপিরা। একইসাথে কাস্টমস লকার থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গেল কোথায়; এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে তিনটি বিল পাশ হয়। এর আগে বিলগুলোর ওপর বিরোধীদের জনমত যাচাই, আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে ফেরত পাঠান এবং সংশোধনীগুলো স্পিকার ভোটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে ‘কাস্টমস বিল-২০২৩’উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিলটি পাশের প্রবল বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টি ও এমপিরা। 

বিলটির ওপর বক্তব্যে গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, কাস্টমস এখন একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। গত আগস্ট মাসে কাস্টমসের লকার থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ লোপাট হয়ে গেছে। পরে তারা এক/দেড়শ ভরি স্বর্ণ কিনে চুরি করে ঢোকায়। এসব স্বর্ণ গেল কোথায়, কারা চুরি করলো? এসব পত্রপত্রিকায় এসেছে। অথচ কারো কোন শাস্তি বা বিচারই হলো না। তাছাড়া বিভিন্ন কাস্টমস হাউসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা ওভার লোডিং, আণ্ডার লোডিং করছে, দেশের অর্থ বিদেশে পাঠাতে সহায়তা করছে। সরকার কোনো প্রতিকার করছে না। বিচার করে না, সব দলীয়করণ হয়ে যাচ্ছে, কার বিচার কে করবে?

বিরোধীরা বলেন, এনবিআর রাজস্ব আহরণের মূল স্থান। সেখানে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। রাজস্ব আয়ের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে খরচ বেশি দেখানো হচ্ছে। কারো কোনো বিচার হয় না। অর্থের বিনিময়ে সব মিটমাট হয়ে যাচ্ছে, কাস্টমস এর কর্মীরা অবৈধভাবে প্রচুর ধনী হচ্ছে। বিরোধীরা সব ক্ষেত্রে অটোমেশনের দাবি জানান।

পরে বিলটি পাশের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যা স্থিরীকৃত আকারে সংসদে পাশ হয়ে যায়। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিলটি উত্থাপণ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। 

বিলটি পাশের বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও রওশন আরা মান্নান। তাদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি পাশের প্রস্তাব করলে কন্ঠ ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়।

এএএম/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়