ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

শেষ হলো ন্যাশনাল এন্টারপ্রিনিউরশিপ সামিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩  
শেষ হলো ন্যাশনাল এন্টারপ্রিনিউরশিপ সামিট

নানা প্রকার উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাপ্তি হলো ৫ম ন্যাশনাল এন্টারপ্রিনিউরশিপ সামিট ২০২৩ এর আসর।

দুই দিনব্যাপী সামিটটি রাজধানী ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ১ ও ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি টেলিকমিউনিকেশন ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ও পিকাবু ডটকম এর পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত সামিটটির স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)।

আয়োজনটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শনের সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

শনিবার রাতে (২ ডিসেম্বর) ৫ম ন্যাশনাল এন্টারপ্রিনিউরশিপ সামিটের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. শামস রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান।

এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক সিদ্ধার্থ গোস্বামী এবং কমিউনিকেশন্স বিষয়ক পরামর্শক ও প্রধান সোহাগ চন্দ্র দাস-সহ ৮৮ ইনোভেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সিইও জে. কবির, এলিট ফোর্স এর সিটিও প্রকৌশলী আব্দুর রহমান রাকিব, টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওসার উদ্দিন এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের লেকচারার মো. খালিদ মাহবুব খানসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান বলেন, উদ্যোক্তা হলো সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি তরুণদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, এ ধরনের সামিট আয়োজন অত্যন্ত ইতিবাচক যা তরুণদের মধ্যে উদ্ভাবনী ধারনা সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আগ্রহ তৈরি করবে।

আবেদনকারীদের মধ্য থেকে উক্ত সামিটে ১৮টি দল অংশ নেয় এবং পিচিং এর মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া বিচারকদের নিকট উপস্থাপন করে। গত ১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার দিনব্যাপী পিচিং শেষে প্রাথমিকভাবে ১০টি আইডিয়া নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত আইডিয়াসমূহ গত ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে চূড়ান্তভাবে উপস্থাপন করে উক্ত ১০ মেধাবী দল। সবশেষে, বিজয়ী ৩ দলের নাম ঘোষণা করা হয়।

বিজয়ী হিসেবে ‘টিম ইকো শেল্টার’ ১ম স্থান অর্জন করার মাধ্যমে পুরস্কার হিসেবে গ্রহণ করে ১০,০০০ টাকা। এছাড়া, টিম ‘হাইড্রো জোন’ ২য় স্থান অর্জন করে ৬,০০০ টাকা এবং টিম ‘এসিস হাই’  ৩য় স্থান অর্জন করে জিতে নেয় ৪,০০০ টাকা। এছাড়া, বিজয়ী ৩টি দলকেই সম্মাননা ক্রেস্টসহ সনদ তুলে দেয় অতিথি ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

/হাসান/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়