মানবসম্পদ উন্নয়নে উদ্দীপনের ‘সিমুলেশন ল্যাব’ চালু

যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং কমনওয়েলথ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী উন্নয়নে ঢাকায় একটি বিশেষায়িত সিমুলেশন ল্যাব চালু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর প্রোগ্রামড অ্যাকশনস (উদ্দীপন)। 

রোববার (৩ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীর মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে উদ্দীপন সিমুলেশন ও হাইটেক ল্যাব উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ এমপি ও শ্যাডো মন্ত্রী স্যাম ট্যারি। এ সময় উদ্দীপনের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান এবং উদ্দীপন বোর্ডের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা নাজির আলমসহ সংগঠনের অন্যান্য বোর্ড ও ব্যবস্থাপনা টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিমুলেশন ও হাইটেক ল্যাব সম্পর্কে আশাবাদী উদ্দীপন চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সুবিধাটি যুক্তরাজ্যের বাজারের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি পূরণ করবে।

উদ্দীপনের নতুন প্রশিক্ষণ ল্যাবটি ইউরোপের বহু দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ কর্মী উন্নয়নে ‘সেতুবন্ধন’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন বোর্ডের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা নাজির আলম।

তিনি আরও বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর), সিমুলেটেড রিয়েলি (এসআর) ব্যবহারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও সনদ অনুযায়ীই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ও হসপিটালিটি এবং নির্মাণখাতে দক্ষ কর্মী চাহিদা পূরণ করবে।

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এবং অন্যান্য দেশগুলোতে বাংলাদেশি নার্স ও কেয়ারগিভারদের বিপুল চাহিদা রয়েছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী চাহিদা মেটাতে হসপিটালিটি এবং নির্মাণ খাতে আরও দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন বলে ধারণা উদ্দীপন কর্তৃপক্ষের। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্রিটিশ স্যাম টেরি বলেন, উদ্দীপনের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করা আমার জন্য অনেক সম্মানের এবং এটি ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে এনএইচএস এবং অন্যান্য মানদণ্ড অনুযায়ী কর্মীচাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

স্যাম টেরি মনে করেন, সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে বিশ্ববাজারে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মত একটি দেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করা আমার জন্য আনন্দের যার সাথে আমাদের ইতিহাস, ভাষা এবং সংস্কৃতির বিনিময় রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উদ্দীপনের এই কর্মসূচি সবার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে বলে বিশ্বাস করেন স্যাম টেরি।