ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩  
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা

অল্প বয়সে বাবাকে হারানোর স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরেছেন শহিদ বুদ্ধিজীবী সিরাজুদ্দিনের সন্তান জাহিদ রেজা নূর এবং শহীদুল্লাহ কায়সারের সন্তান শমী কায়সার।

জাহিদ রেজা নূর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানিরা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সেটাকে শুধু গণহত্যা বলা যায় না, সেটা হচ্ছে ‘জেনোসাইড’। তারা ধরে ধরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, যাতে এই জাতি আর কখনো দাঁড়াতে না পারে। ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় আল বদরদের সাথে নিয়ে রুমে ঢোকে পাকিস্তানিরা। এরপর চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় আমার বাবাকে। এর পর একে একে অন্য সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যায়। এর পর ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলে নিয়ে যায়।

শমী কায়সার বলেন, ২০২৩ সালের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য একরকম, আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগের দিবসের তাৎপর্য অন্যরকম। তখন বুদ্ধিজীবী দিবস বলতে ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা। আমরা কখনো কল্পনাও করিনি, এ দেশে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার হবে। বাংলাদেশের মাটিতে আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে, কারণ জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আছেন। আজকের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য অন্য রকম।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বিজয়ের দুই দিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার, স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বজ্র কঠিন শপথ নিতে হবে। যেকোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে দেশবিরোধী অপতৎপরতাকারীদের, বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বাঙালিদের দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কেয়া খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার ও দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বইমেলা উদ্বোধন করেন। আলোচনা পর্ব শেষে দোয়া করা হয়।

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়