ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতৃত্ব অপরিহার্য’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১২, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৪:১২, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতৃত্ব অপরিহার্য’

‘মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম, ত্যাগ ও সুকৌশলের বিনিময়ে মাত্র নয় মাসেই অর্জিত হয়েছে বিজয়।  বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতি গড়েছে ইতিহাস। বিশ্ববাসীর কাছে নবপরিচয় পেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতির জনক হিসেবে। আগামী নির্বাচনে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জাতির জনকের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতৃত্ব অপরিহার্য’।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে  দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র পক্ষ থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রকৌশলী নেতারা এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে ভিন্ন হতে যাচ্ছে৷ সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই নির্বাচনের বিকল্প নেই। স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপি এই নির্বাচনকে বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বয়কট করেছে। এর জবাবে দেশের জনগণ আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, বিজয় দিবস সর্বস্তরের মানুষের কাছে আরাধ্য একটি দিবস৷ এই বিজয় অর্জনের জন্য ত্রিশ লাখ শহীদ হয়েছেন। বাংলাদেশ হারিয়েছে সূর্য সন্তানদের। অর্জিত বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রকৌশলী সমাজ সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছে৷ আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীরা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকবে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের জন্য অনেকেই হারিয়েছে প্রিয়জন। আমিও আমার বাবাকে এই মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছি৷ আমার পিতাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এটা যেমন কষ্টের পাশাপাশি আমার বাবা এদেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে তা সত্যিই গর্বের। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া সকল শহীদের আত্মার শান্তিকামনা করছি।’

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, আইইবি ঢাকা সেন্টারের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলামসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ ও সেন্টারের প্রকৌশলী নেতারা৷

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র ৩০ জন প্রকৌশলী সদস্য শহীদ হন এবং শতাধিক প্রকৌশলী সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

/হাসান/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়