ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

‘প্রধানমন্ত্রী শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় সব সময় তৎপর’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩  
‘প্রধানমন্ত্রী শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় সব সময় তৎপর’

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় সব সময় তৎপর। তিনি নিয়মিত শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মীদের খোঁজ-খবর রাখেন এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। এর বড় প্রমাণ হলো—করোনা মহামারিকালে তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০ জন রিকশাচিত্র শিল্পীকে অনুদান দেন। ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে তিনি নিয়মিত নির্দেশনা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ইউনেস্কো কর্তৃক ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রের অন্তর্ভুক্তি ও স্বীকৃতি উপলক্ষে রিকশাচিত্র শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট বছরের নিরলস শ্রম ও প্রচেষ্টার ফলে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র অবশেষে বাংলাদেশের পঞ্চম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর গাইডলাইন অনুসরণে তৈরি করা রিকশাচিত্রের ফাইলটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপস্থাপনা হিসেবেও ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। সেজন্য বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ দূতাবাস, ফ্রান্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিকশাচিত্র শিল্পীরা গত ৮০ বছর ধরে বংশানুক্রমিকভাবে এ শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে। এ স্বীকৃতির মধ্যে দিয়ে রিকশাচিত্র শিল্পকে টেকসইভাবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।  

বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং প্যারিস বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ওয়ালিদ বিন কাশেম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. হাসান কবীর। 

উল্লেখ্য, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১১১ জন রিকশাচিত্র শিল্পীর হাতে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান, সনদপত্র ও স্মারক চাদর তুলে দেওয়া হয়।

এএএম/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়