ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

সাহিত্যিক আবু বকর সিদ্দিক আর নেই 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০২, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১২:১১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সাহিত্যিক আবু বকর সিদ্দিক আর নেই 

আবু বকর সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

কবি, গল্পকার ও রাজনীতিবিদ বিদিশা সিদ্দিকের বাবা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবু বকর সিদ্দিক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে তিনি খুলনা সিটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

বৃহস্প‌তিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপু‌রে মৃত্যুর বিষয়টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন তার মে‌য়ে বিদিশা এরশাদ।

তিনি স্ত্রী, ছয় সন্তান, এক ভাই, তিন বোনসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ‌্য গুণগ্রাহী রে‌খে গেছেন।

আরো পড়ুন:

বিদিশা এরশাদ রাইজিংবি‌ডি‌কে বলেন, বাবার (আবু বকর সিদ্দিক) জানাজা বাদ জোহর খুলনার হা‌দিসপা‌র্কে অনু‌ষ্ঠিত হ‌বে। টুটপারা কবরস্থা‌নে তা‌কে সমা‌হিত করা হ‌বে।

মৃত্যুর আগে ক‌বির পা‌শে মে‌য়ে বি‌দিশিা ও না‌তি এ‌রিক এরশাদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন বাবা। খুলনা সিটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। প‌নের দিন ধ‌রে ছে‌লে এরিককে নি‌য়ে শয‌্যাশায়ী বাবার সেবায় নি‌য়ো‌জিত ছি‌লাম। তার আত্মার মাগ‌ফিরাতের জন‌্য সবার কা‌ছে দোয়া চাচ্ছি।

আবু বকর সিদ্দিক ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট মামারবাড়ি বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।

তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০টির অধিক কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, ১৫টি গল্পগ্রন্থ ও একটি ছড়াগ্রন্থ। ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন (১৯৮৬) তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম।

আবু বকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

/নঈমুদ্দীন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়