ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

নির্বাচনবিরোধী তৎপরতা বন্ধে ইসি ব্যবস্থা নেবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩  
নির্বাচনবিরোধী তৎপরতা বন্ধে ইসি ব্যবস্থা নেবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর

নির্বাচনবিরোধী তৎপরতা বন্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার ও অবরোধ-অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে। আমি আশা করি এবং নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাবো যে, নির্বাচন বর্জন করার জন্য এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে লিফলেট বিতরণ ও মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা যে মিছিল করা হয়, এগুলো নজরে এনে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশনের যে ঘোষণা, সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।'

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই তাদের শক্তি, সামর্থ্য, সক্ষমতা প্রকাশ করেছে, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কমিশন সারা দেশের বেশিরভাগ থানার ওসি বদলি করেছে, ইউএনও বদলি করেছে, ডিসি বদলি করেছে। অনেক প্রার্থীকে তারা কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের দৃঢ়তা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।’

‘সুতরাং আমি আশা করি যে, নির্বাচনের বিরুদ্ধে যারা এখন মিছিল-মিটিং বা লিফলেট বিতরণ করছে, এটির বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’ বলেন ড. হাছান। 

বিএনপির নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার যে আহ্বান জানাচ্ছে, সেদিকে কারো কোনো সাড়া নেই। এখন তারা কী করে! লিফলেট বিতরণ করে। এই লিফলেট বিতরণ দেখে পুরান ঢাকায় আর ক্যান্টনমেন্টের দিকের কিছু বানরও পেছনের দিকে লাথি মারে। বিএনপির তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতে চেয়েছিল, পারেনি। তাদের এই আগুনসন্ত্রাসের কারণে নির্বাচনের প্রচারণা ও আমেজেও কোনো ছেদ পড়েনি। মানুষ পুরোপুরিভাবে আজকে নির্বাচনমুখী।’

বিদেশিরা বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, দাবি করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যাদের দুয়ারে দুয়ারে নির্বাচন বর্জন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার এ সমস্ত কথা বলে ধর্ণা দিত, তাদের দুয়ার বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের অনেকেই এসেছে এবং আসছে। অর্থাৎ এ নির্বাচনকে তারা গ্রহণ করেছে।’

বিএনপির অনেক কর্মী-সমর্থকও নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে আছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেক সমর্থক আজকে নির্বাচনি প্রচারণার সাথেও যুক্ত হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তৃণমূল বিএনপির মাধ্যমে, তারপর অন্যান্য দলের মাধ্যমে বিএনপির বহু নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। অর্থাৎ বিএনপির এই নির্বাচন বর্জনের তর্জন-গর্জন সেটি কেউ শোনেনি, নির্বাচনের ঢামাঢোলের মধ্যে হারিয়ে গেছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি প্রথমে মনে করেছিল, আমরা নির্বাচন করতে পারব না, কিন্তু আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে গুপ্ত হত্যার চক্রান্ত করেও তারা মানুষকে নির্বাচন থেকে বিমুখ করতে পারেনি। আজকে সমগ্র দেশে নির্বাচনি ঝড়। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ এবং বিশ্ববাসীও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। বিধায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওআইসি এবং সার্কভুক্ত দেশগুলো ও আরও বিভিন্ন সংস্থা পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে, পাঠাচ্ছে।

নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে বিএনপি বলছে, নির্বাচনের পরেও তাদের আন্দোলন চলবে। তাই, আমি আওয়ামী ঘরানার সকল নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানাব রাজপথে অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য।'

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন সরকার প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। 

পারভেজ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়