নির্বাচনের আগে হরতালে সড়কে গাড়ি কম, ভোগান্তি
ছবি: রাইজিংবিডি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ছাড়াও ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পূর্বঘোষিত হরতাল কর্মসূচি শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি চলবে ভোটের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
এদিন সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কম লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই গণপরিবহন কম থাকায় সাধারণ মানুষকে সড়কে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
সড়কে অপেক্ষারত সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে যানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ও প্রয়োজনে চলাচলের জন্য তাদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে এতেও রয়েছে আতঙ্ক। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে নাশকতার আশঙ্কা মাথায় রেখেই গণপরিবহনে চলাচল করছেন যাত্রীরা। অধিকাংশ গণপরিবহনগুলোতে জানালার গ্লাস বন্ধ করে রাখতে দেখা গেছে।
শনিবার সকালে খিলগাঁও, মালিবাগ, চৌধুরীপাড়া, রামপুরা, বাড্ডা ও মেরাদিয়া এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমাল রক্ষায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং প্রবেশপথগুলোতে পুলিশ ও র্যাবের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় র্যাব ও পুলিশের বেশ কয়েকটি দলের টহল লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকে সড়কে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে প্রাইভেটকার এবং মাইক্রোবাসও চলাচল করতে দেখা গেছে। ছাড়া ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়েও বাইক চালকদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। আর অলি-গলি ছিল রিকশা ও অটোরিকশার দখলে।
শনিবার সকালে মেরাদিয়া এলাকায় খিলগাঁও থানার দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শ মোহাম্মদ কাউছার রাইজিংবিডিকে বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের পূর্বঘোষিত হরতালে সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিন সকালে মেরাদিয়া বাজারের মোড়ে অবস্থনরত রমজান পরিবহনের হেলপার সুমন হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ গণপরিবহন কম চলছে। মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।
/এনটি/এসবি/