বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন
‘সৌমি যেন আমার বুকে ফিরে আসে’
চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি
চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ স্নাতক পাস করেছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতোকত্তর শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার জন্য শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে রাজবাড়ী রেল স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন সৌমি। রাজধানীর গোপীবাগে পৌঁছালে ওই ট্রেনে আগুন লাগে। এর পর থেকে সৌমির সঙ্গে ফোনে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সৌমির সন্ধান মেলেনি। সৌমির বড় ভাই ডা. দিবাকর তার নিখোঁজ থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সৌমির মা। তিনি বলেছেন, ‘আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করবেন, ও যেন আমার বুকে ফিরে আসে।'
সৌমি রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন প্রামাণিকের মেয়ে। চিত্তরঞ্জন প্রামাণিক গত বছর মারা গেছেন। তিনি খানগঞ্জ ইউনিয়নে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সৌমির মা ইতি রানী সরকার কালুখালী উপজেলার পাচটিকরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সৌমি সবার ছোট।
সৌমির ভাই শোভন প্রামাণিক জানিয়েছেন, সৌমি তাদের সঙ্গে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকতেন। কয়েকদিন আগে বাড়ি বেড়াতে যান সৌমি। শুক্রবার বেনাপোল এক্সপ্রেসের ‘চ’ নম্বর বগিতে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। দুর্ঘটনার পর থেকে সৌমি নিখোঁজ। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সুকান্ত/রফিক