‘বঙ্গবন্ধুর সমবায় আন্দোলনকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে’

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, যাতে মানুষ উন্নত জীবন পায়। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে সমাজে যে পরিমাণ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, তা তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু, সমবায়ের সম্ভাবনা বঙ্গবন্ধুর হাতেই তৈরি হয়েছিল। সমবায়ের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনা সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

সোমবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকায় সমবায় অধিদপ্তরে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। সভাপতিত্ব করেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। 

সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো কার্যকর করতে সমবায় আইন ও বিধিকে যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সমবায় যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তাই এতে যেকোনো অব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। সমবায়কে শক্তিশালী করতে হলে যুগোপযোগী আইন তৈরি করে তা কার্যকর করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধন এবং সেই সমিতিগুলোর বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভালোভাবে চালানোর জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সমবায় সম্পর্কে মানুষের মনে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে হবে, যাতে মানুষ সমবায়ের সাথে যুক্ত হয় এবং অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। 

মন্ত্রী যোগ্য সমবায়ী নেতৃত্ব তৈরি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ভালো সাংগঠনিক নেতৃত্বওয়ালা মানুষই পারবে গ্রামের মানুষকে একত্রিত করে সমবায়ের মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে। সমবায়ী নেতৃত্ব তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

মতবিনিময় সভার শুরুতে মন্ত্রীকে সমবায় অধিদপ্তরের কার্যক্রম, সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বিস্তারিত অবহিত করা হয়।