স্মার্ট-দক্ষ প্রজন্ম গড়ে তোলায় গুরুত্ব আরোপ নৌ প্রতিমন্ত্রীর
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভব্যিষৎ প্রজন্মকে স্মার্ট, দক্ষ এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এজন্য তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ নাগরিক তৈরিতে কোনো ছাড় না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিনাজপুরের বিরল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পুনরায় প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় পর পর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় দিনাজপুর-২ নির্বাচনি এলাকার ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা আমার চলার পথে পাথেয়। আপনারা পরপর চারবার নির্বাচিত করায় কতৃজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। আপনাদের এই ভালোবাসার কাছে আমি চিরঋণী। আমার মহান নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ঋণী, যিনি ২০০৮ সালে প্রথম নৌকা মার্কা দিয়ে আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।’ দিনাজপুর-২ আসনের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে সম্মান জানিয়েছেন, সেই সম্মানের কাছে আমি সব সময় ঋণী। এই সম্মান-শ্রদ্ধা, এই ভালোবাসাই আমাদের শেষ কথা নয়। আমাদের আরো অনেক পথ চলতে হবে। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলার। আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার সোনার বাংলা হচ্ছে।’
‘আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম আরো উপরে তুলে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দিয়েছেন—স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গত ১৫ বছরে ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার সেগুলো নিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে দৃশ্যমান করেছেন।’
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা জানাতে যারা আসেন, তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে শুভেচ্ছা জানানো তখনই সার্থক হবে, যখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নাগরিক বের হবে।’
তিনি বলেন, আগামীতে কর্মসংস্থানের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে, সেই কর্মসংস্থান হবে আমাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে এবং দক্ষ নাগরিক তৈরি করতে হবে। এই জায়গায় আমাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না।’
বাংলার মানুষের কল্যাণের জন্য অঙ্গীকার অনুযায়ী যাতে কাজ করতে পারেন, সেজন্য দোয়া ও আশীর্বাদ চান মন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে শতাধিক ফুলের তোড়া নিয়ে আসে বিভিন্ন সংগঠন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিকি সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, থানার ওসি গোলাম মাওলা, বিরল উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আবুল কাশেম অরু, ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মন্ত্রীকে।
পারভেজ/রফিক