ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে চাই: পাটমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০২, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪  
পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে চাই: পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে ১ বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবো।

মন্ত্রী জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থাপিত ইপিবির বুথে রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে পাটমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জার্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপির) নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ, দূতাবাসের কমার্শিয়াল মিনিস্টার সাইফুল ইসলাম, আম্বিয়ান্তে ফেয়ার-এর অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত উদ্যোক্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পোশাকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। জার্মানি আমাদের রপ্তানি পণ্যের দ্বিতীয় গন্তব্যস্থল। জার্মানিতে আমরা প্রতিবছর ৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানি করি। যার ৯০ ভাগ গার্মেন্টস পণ্য। রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধু গার্মেন্টস পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে অতি উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। আমাদের কাঁচাপাট জার্মানির মার্সিডিজ গাড়ির ফ্রন্টডেক্স তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাগণ পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে; যা বিশ্বের ১৩৫টি দেশে রপ্তানি হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। আমি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি, আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৪৮ জন উদ্যোক্তা মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ পেয়েছে। ইপিবির সহযোগিতায় এখানে এসেছে ১১ জন উদ্যোক্তা।  

মন্ত্রী বলেন, আমি দেশে গিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে আগামী মেলায় যাতে আরও বেশি উদ্যোক্তা নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই। প্রয়োজনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতায় জার্মানিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করব। জার্মানির মেলায় এসে এটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ ছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। 

মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মেলার হেড অব ইন্টারন্যাশনাল স্টেফান সুন্ডার। এসময় সঙ্গে ছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট মেলার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কর্মকর্তা ওমর সালাউদ্দিন। আলোচনায় মেলার ভবিষ্যৎ সংস্করণে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির সুবিধার্থে উভয় পক্ষ থেকে সহযোগিতার দেওয়া হয়।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়