ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

বইমেলা উদ্বোধনে শেখ হাসিনার রেকর্ড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
বইমেলা উদ্বোধনে শেখ হাসিনার রেকর্ড

রেকর্ড ২১ বার অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করে ইতিহাস গড়লেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে রেকর্ড ২১তম বারের মত মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা’র উদ্বোধন করেন তিনি। এর মাধ্যমে অন্যরকম এক ইতিহাসের সাক্ষী হলো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ২১ বারের উদ্বোধনের সেসব স্মৃতি তুলে ধরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। এখানে স্থান পেয়েছে প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধনের চিত্রগুলো। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ২১ বার বাঙালির প্রাণের মেলা উদ্বোধন করেন তিনি। সেসব স্মৃতিগুলো দিয়ে ‘মোদের গরব’ ভাস্কর্য ঘিরে তৈরি করা হয়েছে চিত্র প্রদর্শনীর।   

আরো পড়ুন:

বাংলার একাডেমির মহাপরিচালক নুরুল হুদা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ বার অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধনের রেকর্ড করেছেন। এই ২১ শব্দটি ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়।

বইমেলা উদ্বোধন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবার এখানে এসেছেন, তা তিনি সে অর্থে মেলার আনন্দ সেভাবে উপভোগ করেন না। বরং, শিক্ষার্থী থাকার সময়ে এখানে আসার স্মৃতিগুলো তাকে খুব আনন্দ দেয়।

‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসা, এতে কোনও মজা নেই। কারণ, স্বাধীনতাই তো নেই। ডানে তাকাবো নিরাপত্তা, বায়ে তাকাবো নিরাপত্তা, পেছনে গেলে নিরাপত্তা, সামনে নিরাপত্তা। এই নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতাটাই হারিয়ে গেছে’, বলেন তিনি।

এ সময় বইমেলার স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখানে আসলে মনে পড়ে স্কুল জীবনের কথা, ছোটবেলার কথা। এই প্রাঙ্গণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, এখন সে স্বাধীনতাটা নেই। জানি না কবে আবার স্বাধীনতা পাব।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগৃহীত রচনা: দ্বিতীয় খণ্ড’ এবং ‘প্রাণের মেলায় শেখ হাসিনা’ (বাংলা একাডেমিতে শেখ হাসিনার গত ২০ বারের ভাষণের সংকলন) শীর্ষক দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত এবং অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ পরিবেশিত হয়। এরপর ভাষা শহিদদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বইমেলা ঘুরে দেখেন।

এবারের মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।

বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ১১ ক্যাটাগরিতে ১৬ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

পারভেজ/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়