‘ক্যানসার রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি’
![‘ক্যানসার রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি’ ‘ক্যানসার রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি’](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024February/World-Cancer-Day-2402031109.jpg)
তামাক ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকের ধোঁয়ায় প্রায় ৭ হাজারটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যার মধ্যে ৭০টি ক্যানসার সৃষ্টিকারী। এগুলো ফুসফুস, শ্বাসতন্ত্র এবং মুখের ক্যানসারসহ অন্তত ১২ ধরনের ক্যানসার সৃষ্টি করে। পরোক্ষ ধূমপানেও ক্যানসার হতে পারে। শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে তামাক ব্যবহারজনিত ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের (আইএআরসি) হিসাব অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালেই বিশ্বে ২ কোটি নতুন ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৯৭ লাখ মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধূমপানকে ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটির মতে, তামাক ব্যবহার পরিহারসহ অন্যান্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ক্যানসারে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ অবস্থায় আগামীকাল রোববার পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস।
আইএআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২২ সালে ক্যানসারে মারা গেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৮ জন। তামাক ব্যবহারের উচ্চ প্রবণতা এ পরিস্থিতিকে আরো উদ্বেগজনক করে তুলছে। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে, ২০১৭ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩%) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৮১ লাখ মানুষ। গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন আড়াই কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেছেন, ‘খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে। এটি যত বিলম্বিত হবে, ক্যানসারসহ তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যু ততই বাড়তে থাকবে।’
হাসান/রফিক
আরো পড়ুন