ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে: মেয়র তাপস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে: মেয়র তাপস

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিসিএসআইআর (সায়েন্স ল্যাব) আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প দিয়েছেন। আমাদের যে টেকসই অভীষ্ট রয়েছে সেখানে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেজন্য, আমাদের শিক্ষানীতির আলোকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।

শেখ হাসিনার আগে এদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেননি মন্তব্য করে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হতো না। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এই খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেন। আজ আমাকে বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান বললেন, শুধু গবেষণায় ৯ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটাও পর্যাপ্ত নয়। আমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, এই এলাকার সংসদ সদস্য এবং আমিসহ সবাই মিলে আমরা যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারি তাহলে ৯ কোটি ৯০ কোটিতে রূপান্তরিত হবে।

একসময় বিজ্ঞান শিক্ষা পিছিয়ে পড়লেও শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও কর্মক্ষেত্র বাড়ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বিজ্ঞান চর্চায় ও বিজ্ঞানে পড়াশোনায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে এখন আবারও আগ্রহ ফিরে পেয়েছে। আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা বড় হলেই মনে করতো, পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যাব। এদেশে আমার কর্মের সুযোগ নেই, আমার মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ নেই। কিন্তু আপনার লক্ষ্য করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এই পথচলায় আমাদের অনেক সন্তানেরা বহির্বিশ্বের অনেক সুযোগের হাতছানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে আসছে। দেশের জন্য দেশপ্রেম ও নিষ্ঠা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও গবেষণায় অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই তারা দেশে ফিরে আসছেন। তেমনি আজ একজন বক্তা বলেছেন, তিনি ৭ বছর আগে দেশে ফিরে এসেছেন এবং দেশের জন্য কাজ করছেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়ন ছাড়া কখনো একটি দেশ উন্নত হতে পারে না। সে লক্ষ্যে  সরকার বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে এবং করে চলেছে। যেহেতু আমাদের একজন প্রযুক্তিসেবী প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, সেহেতু প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।

বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফটাব আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আরও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব, শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের অণুজীব বিজ্ঞানী ও পরিচালক ড. সেঁজুতি সাহা প্রমুখ।

আসাদ/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়