ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পাটমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৮:৩১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট পেতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পাটমন্ত্রী

টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট (ভৌগোলিক নির্দেশক) পেতে জরুরি ও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে জরুরিভাবে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলে পাট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বস্ত্র ও পাট সচিব আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কাঁচা পাটের উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিক ব্যবহার করে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার করবেন। দেশব্যাপী সারা বছর অভিযান চলমান থাকলেও, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান চালাতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাটের উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে। দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব সময় পাটের বাজারদর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে পাটকলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে, যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পড়ুন- ‘টাঙ্গাইল শাড়ির’ উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গে, দাবি ভারতের: বাংলাদেশে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পাট খাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার পাশাপাশি পাট খাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাট খাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় উৎপাদিত এ শাড়ির জিআই স্বত্ব নিজেদের বলে দাবি করেছে ভারত। বাংলাদেশের বিখ্যাত এই শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ খবর জানায়।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়