‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অভ ফেইমে সেইফ ফুড কার্নিভাল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত খাবার পেতে হলে একটু খরচ বেশি হয়। প্রয়োজনে অল্প খাবো কিন্তু মানসম্মত খাবার খাবো এই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সস্তা পেলেই বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সেক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিতের পরেই কিন্তু কেনা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, একসময় আমাদের দেশ থেকে প্রচুর চিংড়ি রফতানি হতো। কিন্তু ক্ষতিকর জেলি মেশানোর পর থেকে রফতানি কমে যেতে শুরু করে। বিদেশে মানসম্মত পণ্যের চাহিদা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে রফতানি করতে হলে মানসম্মত পণ্য নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে রফতানি যোগ্য পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম যদি জুমার আগে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে মুসুল্লিদের সচেতন করেন তাহলে সচেতনতা বাড়বে। স্কুলের শিক্ষকরা তার লেকচারের আগে ২ মিনিট নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করলে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে। এভাবে সবার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে একসময় খাদ্যের অভাব ছিল, মঙ্গাও ছিল। আমরা এখন সেখানে নেই। দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন আমরা পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য যাতে ভোক্তা পায় সেটা নিয়ে কাজ করছি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে যদি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে বিষয়টি সহজ হবে। ইতোমধ্যে নিরাপদ খাদ্য বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত তা যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত থাকলে আর তা কলেজ পর্যায়ে প্রয়োজন হবে না। সমাজের যারা অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষ আছে তাদের এখানে কাজ করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী নিরাপদ খাদ্যপণ্যের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
/এএএম/এসবি/