ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘সাত বছরে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:৫৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘সাত বছরে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, গত সাত বছরের বেশি সময় ধরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদারভাবে গ্রহণ করে আশ্রয় দিয়েছে। এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝায় পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। বছরে এ খাতে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার গুলশানে ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত ‘থ্রু দ্য লেন্স অব হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শরণার্থীদের বংশবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসায় আমাদের খরচ বাড়ছে। শরণার্থীদের কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে। শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে, স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

‘কোন ধরনের সমাধান না আসা পর্যন্ত এ সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে রেখেছে। শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের সিদ্ধান্ত এখনও অনিশ্চিত থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যার মধ্যে আছে মাদক ও মানব পাচার’।

মহিববুর রহমান বলেন, এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো—নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবসন নিশ্চিত করা। এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড এবং বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত এ প্রদর্শনী সকল দাতা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে, যা রোহিঙ্গা জাতি এবং এই সমস্যা দ্বারা প্রভাবিত স্থানীয় জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। 

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর রিড জে একিলম্যান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি এম এস সুম্বুল রিজভি, ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, দূতাবাস, জাতিসংঘ, আইএনজিও এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নঈমুদ্দীন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়