ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

অবৈধ মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৪:৪৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অবৈধ মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যারা অবৈধ মজুদ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সেই সব মজুদদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)  মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তার এ মন্তব্য আসে।

মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরির একটা চক্রান্ত চলছে বলে আপনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মহলও জড়িত আছে দেশের তো জড়িত আছেই এই আশঙ্কা থেকে আমরা দুরে আছি কি না, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এই নির্বাচন বানচালের পথে তারা যখন দেখলো নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হলো, যে জিনিসের দাম বাড়ালে সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন তারা আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ, এই চক্রান্তটা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা সব সময়, যখন করোনাভাইরাসের অতিমারি দেখা দিলো, সারা বিশ্বব্যাপি স্যাংশন এলো, পণ্য পরিবহনে যখন বাধাগ্রস্ত হলো তখন থেকেই আমি বলে আসছি- আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে, অনাবাদী না থাকে।এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে অভাব হলে শোনা যেতো পেটে ভাত নেই। আর এখন কি বলে, তেলের দাম পেঁয়াজের দাম, গরুর মাংসের দাম, এটা কি একটা পরিবর্তন না? পনের বছরের এই পরিবর্তনটা আসছে, সেটা তো স্বীকার করবেন। পনের বছর আগে কি ছিলো, ভাতের জন্য হাহাকার ছিলো, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো এগুলো নাই।

তিনি আরও বলেন, আপনি নিজেই তো বলেছেন ডিম লুকিয়ে রেখেছে। আপনার কি মনে হয় না যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদের এখানে কারসাজি আছে?  এর আগেও এ রকম পেঁয়াজের খুব অভাব, বস্তাকে বস্তা পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিৎ। কারণ আমরা সরকার কিছু করতে গেলে বলে সরকার করছে, তার থেকে পাবলিক যদি এটার প্রতিকার করে তাহলে আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।   

ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষযটি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন অভ্যন্তরীণ বাজারে ডিমের সংকট বাজার ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি কিভাবে মোকাবেলা করবেন, এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র ছিলো, ষড়যন্ত্র আছে। আপনারা জানেন আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া, ক্ষমতায় যেনো না যেতে পারি। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেনো। রাসেলকে ছাড়েনি, কারণ যেন ঐ রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি এবং আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি। তার পরে আমি ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি, আমার চেষ্টাই হচ্ছে- যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করেছেন সেটাই পূরণ করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র প্রত্যেকবার হচ্ছে, বারবার হয়েছে। আজকে মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি, যার সুফল দেশবাসী পাচ্ছে। নির্বাচনটা যাতে না হয় তার জন্য একটা বিরাট চক্রান্ত ছিলো। ২৮ অক্টোবরের কথা একবার চিন্তা করেন, ২০১৩ সালের সেই অগ্নি সন্ত্রাস, ২০১৩/১৪/১৫ এর পর আবার গতবছরের ২৮ অক্টোবর। এগুলো তো আর হঠাৎ করে হয় না, এটা পরিকল্পিতভাবে।

পারভেজ/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়