ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

দশ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডাকছে সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
দশ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডাকছে সরকার

বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দেওয়া ১০ রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডেকে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি বছরে চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে এসব কূটনীতিকের। 

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, রেগুলার ট্রান্সফার রুটিনের অংশ হিসেবে তাদের ডাকা হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে আছেন—পেশাদার কূটনীতিক মো. মনিরুল ইসলাম (ইতালি) এবং আসুদ আহমেদ (গ্রিস)। তাদের দুজনেরই পিআরএল শুরু হবে এপ্রিলে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে খলিলুর রহমান (কানাডা) ও মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার (জার্মানি) মেয়াদ শেষ হবে এপ্রিলে। মোহাম্মাদ সুফিয়ুর রহমান (সুইজারল্যান্ড) ও মেজর জেনারেল আশিকুজ্জামানের (কুয়েত) মেয়াদ শেষ হবে মে মাসে। সুলতানা লায়লা হোসেন (পোল্যান্ড) ও মোহাম্মাদ আব্দুল হাইয়ের (থাইল্যান্ড) মেয়াদ শেষ হবে জুনে। জুলাই মাসে শাহাবুদ্দিন আহমদ (জাপান) ও সেপ্টেম্বরে মো. ফজলুল বারীর (ইরাক) মেয়াদ শেষ হবে।

এরইমধ্যে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. খলিলুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ড. মো. খলিলুর রহমান অটোয়া থেকে শিগগিরি ঢাকায় ফিরবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে কারো চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেউ অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাবেন। চাকরি শেষ করে তারা অবসরে যাবেন।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তারও চুক্তির মেয়াদ শেষ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় রুটিন অনুসারে তারা ঢাকায় আসবেন। এসে তারা অবসরে চলে যাবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অনেকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকেন। এ ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের একটা সময় থাকে। এক বছর কিংবা দুই বছরের জন্য তাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তেমনই খলিলুর রহমানেরও চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে ড. মো. খলিলুর রহমানকে ছয় মাসের জন্য একই পদে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। খলিলুর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ও নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে কাজ করেছেন।

কূটনীতিকদের সরকারি চাকরি শেষ হওয়ার পরে মেয়াদ বৃদ্ধির একটি প্রথা চালু রয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর ফলে মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রদূত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।

একজন পেশাদার কূটনীতিক যদি ৫৯ বছরের পরও রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করতে থাকেন, তখন মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের সুযোগ কমে আসে। বিষয়টি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবকে জানানো হয়েছে। তারাও বিষয়টি বোঝেন।

৬০টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে। এসব দূতাবাসে পররাষ্ট্র ক্যাডার বা বাইরে থেকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। মোট রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ পররাষ্ট্র ক্যাডার এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান আছে।

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়