রাজধানীতে জলাধারগুলো বিলীন হওয়ার পথে: মন্ত্রী
![রাজধানীতে জলাধারগুলো বিলীন হওয়ার পথে: মন্ত্রী রাজধানীতে জলাধারগুলো বিলীন হওয়ার পথে: মন্ত্রী](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024March/Untitled-1-2403051239.jpg)
রাজধানীতে জলাধারগুলো বিলীন হওয়ার পথে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জলাধারগুলো উন্মুক্ত করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী জানান, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় জলাধারগুলো ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকায় জলধারগুলো উন্মুক্ত করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা ওয়াসা তাৎক্ষণিক অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে। রাজধানীতে পানির উৎস বাড়ানোয় লক্ষ্যে খালগুলো সংস্কার ও অবৈধ দখলমুক্ত করার কার্যকম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খাল এবং নালা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং আদি বুড়িগঙ্গা পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, শহরের বৃষ্টির পানির সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য খাল, নালা, জলাশয় (জিরানী খাল, মান্ডা খাল, সেগুনবাগিচা-আরামবাগ খাল, গোড়ান-বাসাবো খাল, শ্যামপুর খাল ও কালুনগর খাল) এবং বক্সকালডার্ট (সেগুনবাগিচা, পান্থপথ ও পরিবাগ) সমূহে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা ও রাবিশ পরিষ্কার করা হয়েছে, নিকটবর্তী নদী বা নিষ্কাশন পর্যন্ত পানি প্রবাহ নির্বিঘ্নে করার জন্য অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট চারটি খাল (মান্ডা, জিরানী, কালুনগর ও শ্যামপুর) উন্নয়ন ও নদীর সঙ্গে পুনঃসংযোগ, স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত এবং নাব্যতা বুদ্ধির লক্ষ্যে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা প্রচলিত ব্যয় সম্বলিত খাল উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। পরে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালগুলোর নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
আসাদ/এনএইচ
আরো পড়ুন