রাজনীতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি কার্যকর গণতন্ত্রের সহায়ক: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী। তবে নারী ভোটার সংখ্যা পুরুষের অনুপাতে বেশি। রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি দেশকে আরও কার্যকর গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করে।’

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের চার্চিল হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। ‘লেভারেজিং পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি ফর পলিটিক্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন: বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন তিনি।

স্পিকার বলেন, ‘নারীদের যোগ্যতাবলেই বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদে জায়গা করে নিতে হবে। জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার হওয়াকে অনেকে নারীর ক্ষমতায়নের এক বিশাল উদাহরণ হিসেবে ধরে নেন। তবে এটা একটি প্রতীক, যা দিয়ে বোঝা যায় যে নারী যদি যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তাহলে সে সাফল্যের শিখরেও পৌঁছাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই লিঙ্গ সংবেদনশীল বিভিন্ন আইন ও নীতি গ্রহণ করতে হবে। লিঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন আরও দ্রুত হবে। জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।’

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৫০টিতে উন্নীত করেছেন। সরাসরি নির্বাচনের জাতীয় সংসদে অধিক সংখ্যক নারী সংসদ সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চলমান।’

পরবর্তী সময়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে তিনি সিপিএর মহাসচিব স্টিফেন টুইগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ থেকে আগত প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।