ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১ ১৪৩১

‘আইএসআইকে সন্তুষ্ট করতে রাজাকারের সন্তানরা ভারতবিরোধিতা করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২৫ মার্চ ২০২৪  
‘আইএসআইকে সন্তুষ্ট করতে রাজাকারের সন্তানরা ভারতবিরোধিতা করছে’

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ অন্যরা

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি আইএসআইকে সন্তুষ্ট করার জন্য জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির নেতারা ভারতবিরোধিতার জিকির তুলছে বলে অভিযোগ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রকাশিত দলিলে রয়েছে। পুরো পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে পহেলা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেছে। আমরা আজও তারস্বরে চিৎকার করছি, গণহত্যার স্বীকৃতি চাই। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে, কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অর্জিত আমাদের পবিত্র সংবিধানকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তারা হত্যা করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে হত্যা করেছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বাংলাদেশ দীর্ঘ ২১ বছর যাবৎ উল্টো পথে চলেছে। বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের রেকর্ড তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই ভাষণ আমরা যারা বাজানোর চেষ্টা করেছি, আমাদেরকে পুলিশ পিটিয়েছে, অত্যাচার করেছে ,গ্রেপ্তার করেছে। এই তো ছিল ২১ বছরের বাংলাদেশ! সেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাঙালি জাতি ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। তাই, আজকের প্রজন্ম এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে।

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সম্প্রীতি বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জাগরণ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, এই গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হলে শুধু আমাদের দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে সমস্ত বাঙালির মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। বাইরে অবস্থানরত বাঙালিদেরও এই দিবসটি পালনের জন্য সচেতন করতে হবে। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলাম, এখনো বেঁচে আছি; ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস স্বীকৃতি হিসেবে লাভ করলে আত্মতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

ঢাকা/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়