ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ৫ এপ্রিল ২০২৪  
সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

শুক্রবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে নৌযান ও ঘাটকর্মীদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির উপস্থিত ছিলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে আমাকে স্পিডবোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ, গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছেন, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই। 

তিনি বলেন, আগে দেখতাম, লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য, রাত ৮টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা সকালবেলা এসে লঞ্চে বসে থাকত দুপুরের খাবার নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থা নেই। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিল যে, পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকাল আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখে বলছিলাম, এটা এখন ইতিহাস, আর ফিরে আসবে না। 

তিনি আরও বলেন, সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারত না। এখন একটু স্বস্তিতে আছে। নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিক ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ, এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে, আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রীসাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকার বাসিন্দারাও পাবেন। মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। বিগত ১৫ বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। সদরঘাটের সাথে যেন মেট্রোরেলের কানেকশন হয়, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে।বন্দরটি হওয়ায় ওই অঞ্চলের সিনারিও পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। 

এএএম/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়