গণপরিবহনের ৪০০ চালককে প্রশিক্ষণ

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের (সংশোধিত-২০১৩) যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) উদ্যোগ ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে ১ ও ৮ এপ্রিল গণপরিবহনের (বাস, সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা, টেম্পু) ৪০০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

‘পেশাজীবী গাড়িচালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’-এ পেশাদার গাড়িচালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিবিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন।

প্রশিক্ষণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কুফল, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের অবহিত করা হয়। চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। ফলে, ধূমপান না করেও একই রকম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। এ সময় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে অংশ্যগ্রহণকারী চালকদের গণপরিবহনে ধূমপানের অপকারিতা বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা ও আইনের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানানো হয়।

পাবলিক প্লেস, যেমন: বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, নৌবন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ গণজমায়েতস্থলে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেসব স্থানে প্রত্যক্ষ ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক অধূমপায়ী।

গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএর যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহেই নিয়মিতভাবে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।