ঢাকা     সোমবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাসভাড়া দ্বিগুণ 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০০, ১১ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১১:০৪, ১১ এপ্রিল ২০২৪
ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাসভাড়া দ্বিগুণ 

ঈদের দিনে ঢাকা ছাড়ছে অনেক মানুষ

যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানীবাসীদের মধ্যে অনেকে নানা কারণে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিনে ঢাকা ছাড়ছেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।  

এদিকে, বাসগুলো আসন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো ঢাকা ছাড়ছে না। ফলে, নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কায় যাত্রীরা। 

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাসের একটি ট্রিপ দিতে কয়েক হাজার টাকা লাগে। তাই, খালি গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। এজন্য সব আসন পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

রাজধানীর ধোলাইপার ফুলবাড়িয়া টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের নামাজের আগে-পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা ছেড়ে নিজ এলাকায় যাচ্ছেন।

অনেকেই রাজধানীতে চাঁদ রাত (ঈদের আগের রাত) পর্যন্ত ব্যবসা বা বিভিন্ন কাজ করেন। হোটেলের কর্মচারী, রিকশা-ভ্যান-পিকআপের চালক, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অনেকেই আজ গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।

ইলিশ পরিবহনের বাসে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাবেন আবুল হাসানাত। তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি তো যেতে হবে। পল্টনে মুদি দোকানে কাজ করি। সারা রাত ডিউটি করেছি। ভোর থেকে দোকান মালিক ছুটি দিয়েছে। বাড়িতে পরিবার থাকে। তাই, আজ ঈদের দিন বাড়িতে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদ আসলে যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়। এবছরও একই অবস্থা। ২৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা। এগুলো দেখার কেউ নেই।

বিআরটিসি পরিবহনের বাসে পটুয়াখালী যাবেন নাইমুল হাসান। তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি তো যেতে হবে। তাই, দেরিতে হলেও আজ ঈদের দিনে বাড়িতে যাচ্ছি। দেরিতে গেলেও ঈদের আনন্দে কমতি হবে না। প্রতি বছর ঈদ আসলে বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। এবছরও একই অবস্থা। ৫০০ টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা। সবকিছুর একটা লিমিট আছে। ঈদ বোনাসের জন্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নিতে পারে। তাই বলে তো দ্বিগুণ নিতে পারে না। আমাদের ঠকিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। কার কাছে বলব এ কষ্টের  কথা।

গুলিস্তানের ফুটপাতের ব্যবসায়ী জাকারিয়া জানান, তার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর। ঈদের আগে ঢাকা ছাড়েননি বাড়তি আয়ের আশায়। চাঁদ রাতে দোকান খুললে বেশি আয় করা যায়। ঈদের আগেই পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে গেছেন। চাঁদ রাতে দোকান করে আজ যাচ্ছি। আজও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা সামসুল ইসলাম  বলেন, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় এই রুটে ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যায়। মাওয়া ঘাটে ২৫০ টাকা ভাড়ার নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা।

ঈদের দিনের যাত্রা সম্পর্কে ইলিশ পরিবহনের সুপারভাইজার কবির হোসেন বলেন, কাজ শেষ করে ঈদের দিনে অনেকেই বাড়িতে যান। সে কথা মাথায় রেখে প্রতি বছরই আমরা ঈদের দিনে পরিবহনের ব্যবস্থা রাখি। আমাদেরও পরিবার আছে, তাদেরও নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে হয়। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে ঈদ উদযাপন করি। 

এএএম/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়