ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

‌‘গবাদি পগুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ১১ মে ২০২৪  
‌‘গবাদি পগুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে’

‘বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে মানুষের জন্য ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সফল হলেও গবাদি পগুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। উন্নত জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সমান জরুরি। কারণ পরিবেশ এবং প্রাণীদেহ থেকে নানা ধরনের রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে।’

গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ‘স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট মিটিং উইথ ন্যশনাল লেভেল স্টেকহোল্ডার’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় উপস্থিত বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডি'র অর্থায়নে বাস্তবায়িত লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি, ইউকেআরআই ও জিসিআরএফ এর অর্থায়নে বাস্তবায়িত ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এ প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি এ প্রকল্পের কারিগরী দিক নিয়ে কাজ করছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস্তবায়িত ওয়ান হেলথ পাইলট কর্মসূচির বেজলাইন জরিপের ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, জনস্বাস্থ্য, গবাদি প্রাণি সুরক্ষা এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তথা পরিবেশের সুরক্ষা-এই তিনটি বিষয়কে সমান গুরুত্ব দেওয়া এবং এদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরির নামই হলো ‘ওয়ান হেলথ’ বা এক স্বাস্থ্য। এ ব্যাপারে সবার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য। সেজন্য ওয়ান হেলথ পদ্ধতির অংশগ্রহণমূলক কৌশলটি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ওয়ান হেলথ বা এক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যা মানব, প্রাণী এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যের আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়ন করে। এ ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে এবং টেকসই অনুশীলনগুলোর উন্নয়নের জন্য সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিশেষ প্রয়োজন।

ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশের জাতীয় গবেষণা ব্যবস্থাপক ড. রাশেদ মাহমুদ বলেন, ওয়ান হেলথ কিংবা সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব না। আমাদের সবার উদ্দেশ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দেওয়া। এটা করতে হলে অ্যানিমেল, এনভাইরনমেন্ট ও ভেটেনারি সেক্টর- এ তিনটি হলো ওয়ান হেলথের মূল উপাদান। এগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের মানুষ তথা বিশ্বকে বাঁচাতে হবে। প্রাণি থেকে মানবদেহে যেসব রোগ ছড়ায়, সেগুলো কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেজন্য মানুষকে সচেতন করাই আমাদের মূল উদ্দ্যেশ্য। এটা নিয়ে গবেষণা করছি আমরা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও সচেতন করার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে শিক্ষক, ইমাম, পরিবেশকর্মী এবং অন্যদের সঙ্গেও কাজ করছি।

‘এক স্বাস্থ্য, এক বিশ্ব’ সর্ম্পকে এসিডিআই/ভোকা’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি নুরূল আমিন সিদ্দিকী বলেন, ‘এক স্বাস্থ্য, এক বিশ্ব’ রক্ষায় বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সর্ম্পক রক্ষায় এসিডিআই/ভোকা কাজ করছে। বাংলাদেশের যশোর এবং বরিশালে আমরা এ ধরনের কার্যক্রম সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেজাউল হক এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করে বলেন, ওয়ান হেলথ বিষয়ক বিভিন্ন এজেন্ডা প্রাণিসম্পদ বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়