ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১৬ মে ২০২৪   আপডেট: ১৩:৪৭, ১৬ মে ২০২৪
আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড়

ফাইল ছবি/সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চুক্তি অনুযায়ী চায়না কোম্পানির নিকট হস্তান্তরে স্থিতাবস্থা জারি করলেন আপিল বিভাগ। ফলে আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।

এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে  ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির  শেয়ার  চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার  চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আরো পড়ুন:

আইনজীবীরা বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর তা নিয়ে আপিলে আসে ইটালিয়ান থাই। আজকের আদেশের ফলে  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুনরায় কাজ শুরুর পথ খুললো। হাইকোর্টে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।

গত শনিবার চীনা কোম্পানির আইনজীবী ব্যারিস্টার মেহেদী  হাছান চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন,  দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্প্ত্তি করবেন।

আদালতে ইতালিয়ান থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন,ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। থাই কোম্পানির আইনজীবী ইমতিয়াজ ফারুক বলেছেন, তারা কোম্পানির সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন আপিলের বিষয়ে।

এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে  ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

জানা গেছে, চলতি বছরেই শেষ হওয়ার কথা ছিল অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। কিন্তু তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।

থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান। 

প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। 

/মামুন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়